শেফাইল উদ্দিন:
কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের নেতৃত্বে উঠে এসেছে নতুন এক আলোচিত নাম — বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নুরুল ইসলাম লিপু।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন এই তরুণ ছাত্রনেতা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনের প্রতি একনিষ্ঠ ভালোবাসা, নিষ্ঠা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও তরুণ নেতৃত্বের গুণাবলির কারণে আসন্ন জেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে লিপুকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে দেখা যেতে পারে বলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে আশাবাদ দেখা দিয়েছে।
রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান নুরুল ইসলাম লিপু সৌদি আরব বিএনপির মক্কা আঞ্চলিক কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব শামসুল হুদার পুত্র। তিনি জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম. মমতাজুল ইসলামের ভাতিজা এবং ঈদগাঁও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জালালাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর তাজ জনির ছোট ভাই।
২০০৫ সাল থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত লিপু সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ে নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করে আসছেন। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া ২০২৪ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহণ করে নেতৃত্বের সাহসিকতা ও নিষ্ঠার পরিচয় দেন।
তার পরিচ্ছন্ন নেতৃত্ব, ত্যাগী মনোভাব ও সহকর্মীদের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্কের কারণে লিপু আজ জেলা ছাত্রদলসহ তৃণমূলের কাছে একজন গ্রহণযোগ্য ও সম্মানিত নেতা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
সম্প্রতি, ২২ আগস্ট বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ-কে শুভেচ্ছা জানাতে ঈদগাঁও বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে লিপুর নেতৃত্বে শত শত নেতাকর্মীর অংশগ্রহণ দৃষ্টি কেড়েছে।
এছাড়া, ৭ নভেম্বর “বিপ্লব ও সংহতি দিবস” উপলক্ষে কক্সবাজার জেলা বিএনপির আয়োজিত শোভাযাত্রায় অনেক নেতাকর্মী নিয়ে অংশগ্রহণ করে তিনি আবারও তরুণ নেতৃত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
তরুণ নেতাকর্মীরা মনে করেন, শিক্ষা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও পারিবারিক রাজনৈতিক ঐতিহ্যের কারণে মো. নুরুল ইসলাম লিপু ভবিষ্যতে জেলা ছাত্রদলের নেতৃত্বে আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন। তাদের বিশ্বাস, যোগ্য ও ত্যাগী এই ছাত্রনেতাকে নেতৃত্বে রাখলে জেলা ছাত্রদল হবে আরও সংগঠিত, গতিশীল ও বেগবান।
জেলা ছাত্রদলের নেতৃত্বে আলোচনায় আসা লিপুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,

“দলের আদর্শ ও নেতৃত্বের প্রতি অনুগত থেকে আমি সবসময় ছাত্রদলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও কাজ করে যাব। দল, দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করাই আমার অঙ্গীকার।”